ডোপামিন ডিটক্স কেন পরবেন

9 months ago

আমরা সাধারণত অফিস করি ৮ থেকে ১০ ঘন্টা কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় কাজ শেষ হচ্ছে না ঠিক সময়ে। বরং প্রতিদিন একটু একটু করে বেড়েই যাচ্ছে কাজের বোঝা। কি? এরকম হয় না? 
 এরকম সমস্যার মুখোমুখি আমরা অনেক সময়ই হয়ে থাকি। ব্যাপারটা আর কিছুই না। হয়তো আপনি সঠিক সময়েই অফিসে যাচ্ছেন। কাজও করছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনার প্রোডাক্টিভিটির পরিমাপে। আপনার প্রোডাক্টিভিটি লসের কারণে সঠিক সময়ে কাজ শেষ হচ্ছে না কিংবা অফিসের কাজ বাসায় বসেও করতে হচ্ছে।
মনে রাখবেন অফিসে আমরা কাজ ছাড়াও আরও অনেক কিছু করি, যেগুলো ঠিক অফিস ওয়ার্কের মধ্যে পড়ে না। লাঞ্চ খাওয়া, বাথরুম যাওয়া, চা-কফি পান, সহকর্মীদের সঙ্গে মজা, হাসি ঠাট্টা এবং অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়ার অমোঘ আকর্ষণ আরো কত কি। সবগুলো যোগ করলে যেটুকু সময় বেরিয়ে আসে, সেটাও কিন্তু অফিসের সময়ের একটা অংশ। অথচ এর কোনওটাই আপনার অফিসের কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়।
তার মানে অবশ্য এই নয় যে দিনরাত ঘাড় গুঁজে কাজ করতে হবে। একেবারেই নয়। আসল কথা হল অফিসে নিজের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানো।বরং বুদ্ধি করে এমনভাবে সময়ের ব্যবহার করুন যাতে অফিসে আপনার নিজের প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি পায়। দেখে নিন ঠিক কীভাবে সেটা করা যেতে পারে। 
কয়েকটি টিপস নিয়ে কথা বলা যাক- 
💥💥 টু মিনিট’স রুল
অফিসে এমন অনেক ছোট ছোট কাজ থাকে যেটা করতে দু মিনিট বা তার চেয়েও কম সময় লাগে। আমরা সাধারণত সেগুলো পরে করব বলে সরিয়ে রাখি। এমনটা করবেন না। এতে কাজ জমে যাবে। স্টিভ ওলেন্সকি এই নিয়মের নাম দিয়েছেন টু মিনিটস রুল। অর্থাৎ দু মিনিট বা তার চেয়ে কম সময়ের কাজগুলো আগে সেরে নেওয়া যাতে করে পরে কাজের বোঝা না বাড়ে।
💥💥 মাল্টি-টাস্কিং না করা
যারা একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ করেন, তারা মনে করেন এটা করলে তাদের কাজ তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু বিষয়টি একদম ভুল। একসঙ্গে অনেক কাজ না করে একটা কাজ সেরে আরেকটা করলে প্রোডাক্টিভিটি অনেক বেশি হয়। একসঙ্গে অনেক কাজ করলে কাজে ভুল হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। তখন সেই কাজটা আবার করতে হয়। বরং হাতের একটা কাজ সেরে তবে আরেকটা শুরু করলে প্রোডাক্টিভিটি এবং এফিসিয়েন্সি দুটোই বাড়ে।
💥💥 নিজের কাজের একটা হিসেব রাখুন
অফিসে গিয়ে আপনি কাজের জন্য ঠিক কতটা সময় দিচ্ছেন, তার একটা মোটামুটি হিসেব রাখুন। যদি সেটা খুব কম হয়, তাহলে দেখুন কেন কম হচ্ছে। আর যদি খুব বেশি হয়েও আপনার কাজ শেষ না হয়,তাহলে সেটাও ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে বের করুন। ছুটির দিনে বাড়িতে বসে নিজের কাজের সময় নির্ধারিত করে দিন। মনে মনে বলুন, এর মধ্যেই আপনি সব কাজ শেষ করবেন। অফিসে যতটা পারেন সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
💥💥 একটু ব্যায়াম করতে পারেন
অনেক অফিসে জিমের ব্যবস্থা থাকে। একনাগাড়ে কাজ না করে মাঝে মাঝে টুকটাক ব্যায়াম কিংবা হাটাহাটি করে এলে কাজের গতি বাড়ে। জার্নাল অফ অকুপেশানাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল মেডিসিন বলছে জিমে গেলে বা ছোট্ট করে হেঁটে এলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। মন ফুরফুরে হয়ে যায়। ফলে কাজের প্রোডাক্টিভিটি  বৃদ্ধি পায় এবং কাজ করার উদ্যম আসে। 
প্রোডাক্টিভিটি নিয়ে আরো জানতে পড়তে পারেন থিবো মেরিসের এই বইগুলো-
0️⃣1️⃣ ডোপামিন ডিটক্স
0️⃣2️⃣ পাওয়ারফুল ফোকাস
0️⃣3️⃣ ইমিডিয়েট একশন 
0️⃣4️⃣ স্ট্র‍্যাটেজিক মাইন্ডসেট 
 একদম ছোট্ট বই। এক বসায় পড়ে শেষ করা যায়। বাংলা অনুবাদ পড়তে চাইলে Rushda Prokash রুশদা প্রকাশ   হাইলি রেকমেন্ডেড!!! 
কারো কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন।

Leave A Comment